ঢাকা ০৭:০১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
টাকার পাহাড় গড়েছেন সরকারের মন্ত্রী-এমপিরা ভারতে বসে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে শেখ হাসিনা: সেলিমা রহমান ভারতে থাকার বৈধ মেয়াদ শেষ, কী ঘটবে শেখ হাসিনার ভাগ্যে ভারতে ‘এক দেশ এক ভোট’ কি সত্যিই হবে পুলিশের কাজ পুলিশকে দিয়েই করাতে হবে, আইন হাতে তুলে নেওয়া যাবে না জাতিসংঘ অধিবেশন নিউইয়র্কে যাদের সঙ্গে বৈঠক হতে পারে ড. ইউনূসের বৈশ্বিক-আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য পাকিস্তান-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক জরুরি: বাইডেন ইলিশের দাম কমছে না কেন বায়তুল মোকাররমে মুসল্লিদের মধ্যে হাতাহাতি, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনা মোতায়েন বায়তুল মোকাররমে মুসল্লিদের মধ্যে হাতাহাতি, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনা মোতায়েন

কালো জিরা, কালো হিরা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৪:৩৪:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ অক্টোবর ২০১৬
  • ৩৭৯ বার

রান্নায় যেসব মশলা ব্যবহৃত হয়, তার গুণাগুণ স্বীকার করেছে গোটা দুনিয়া। বিভিন্ন মশলা নিজস্ব গুণে অনবদ্য। আজ আমরা আলোচনা করব প্রায় সবার রান্নাঘরের অন্যতম আবশ্যিক উপাদান কালো জিরের গুণাগুণ নিয়ে। এই মশলা যেশুধু রান্নায় স্বাদ বাড়ায় তানয়, অনেক অসুখের নিরাময় লুকিয়ে আছে কালোজিরের মধ্যে। উগ্র সুগন্ধযুক্ত কালোজিরে ক্ষিধে বাড়ায়, পেটের বায়ুনাশক ও ফুসফুসের রোগে উপকারী। কেউ কেউ কাশি ও জন্ডিসে কালোজিরে খাওয়ার কথা বলেন।

আমাশা নিরাময় – আমাশার সমস্যায় কালোজিরে মহৌষধ। এ সময় কালোজিরা সামান্য ভেজে গুঁড়ো করে ৫০০ মিলিগ্রাম হারে ৭-৮ চা চামচ দুধে মিশিয়ে ওই মাত্রায় সকালে ও বিকেলে সাত দিন ধরে খেলে উল্লেখযোগ্য ফল পাওয়া যায়।

অনিয়মিত পিরিয়ড – যে সব মহিলা অনিয়মিত পিরিয়ডের সমস্যায় ভোগেন, তাঁদের পিরিয়ড শুরুর পাঁচ-সাত দিন আগে থেকে অল্প গরম জলে ৫০০ মিলিগ্রাম কালোজিরে মিশিয়ে সকালে ও বিকেলে খেতে হবে।

মাথায় যন্ত্রণা – কাঁচা সর্দি থেকে মাথায় যন্ত্রণা হচ্ছে? এ ক্ষেত্রে কালোজিরা কাপড়ে পুঁটলি করে বেঁধে শুকোতে হবে। হাতে রগড়ে নিয়ে সেই গন্ধটা শুকলে উপকার পাওয়া যায়।

শ্লেষ্মা বসে যাওয়া – এ অবস্থায় কালোজিরা বেটে কপালে প্রলেপ দিলে উপকার হয়।

চুলকানি – কালোজিরা ভাজা তেল গায়ে মাখলে চুলকানিতে উপকার হয়। এতে ১০০ গ্রাম সরষের তেলে ২৫-৩০ গ্রাম কালোজিরা ভেজে সে তেল ছেঁকে নিয়ে ব্যবহার করতে হয়।

বিছের হুল – কালোজিরা বেটে কামড়ের জায়গায় লাগিয়ে দিলে অল্প সময় পরই হুলের জ্বালা কমে যায়।

গলা ফোলা – সর্দি-কাসির জন্য গ্লান্ড ফুলেছে, সে ক্ষেত্রে কালোজিরা ও চাল পোড়া সমান পরিমাণে নিয়ে বেটে প্রলেপ দিলে এক দিনের মধ্যে ফোলা ও ব্যাথা উভয়ই উপশম হয়।

দাঁতের ব্যথা – গরম জলে কালোজিরা নিয়ে তা দিয়ে কুলি করলে দাঁতের ব্যথার উপশম হয়।

চুল পড়া – কালোজিরা বেটে নিয়ে মাথায় নিয়মিত মালিশ করলে চুল পড়া কমে ও নতুন চুল গজায়।

ত্বকের শুষ্কতা – ঘিয়ের সঙ্গে কালোজিরে মিশিয়ে খেলে মুখ উজ্জ্বল হয় ও রং ফর্সা হয়।

কৃমি – ভিনেগারে ভিজিয়ে কালোজিরা খেলে কৃমি নষ্ট হয়।

স্মৃতিভ্রংশ – স্মৃতিভ্রংশ ও স্মরণশক্তির দুর্বলতায় কালোজিরা খুব কার্যকর। ৩ গ্রাম কালোজিরা ২০ মিলিলিটার মধুর সঙ্গে মিশিয়ে খেলে এ রোগ সারে।

জন্ডিস, প্লীহাবৃদ্ধি – কালোজিরা বেটে খেলে এ সব রোগ সারে।

প্রস্রাবের বাধকতা – পরিমাণমতো কালোজিরা খেলে প্রস্রাব পরিষ্কার হয়ে যায়।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

টাকার পাহাড় গড়েছেন সরকারের মন্ত্রী-এমপিরা

কালো জিরা, কালো হিরা

আপডেট টাইম : ০৪:৩৪:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ অক্টোবর ২০১৬

রান্নায় যেসব মশলা ব্যবহৃত হয়, তার গুণাগুণ স্বীকার করেছে গোটা দুনিয়া। বিভিন্ন মশলা নিজস্ব গুণে অনবদ্য। আজ আমরা আলোচনা করব প্রায় সবার রান্নাঘরের অন্যতম আবশ্যিক উপাদান কালো জিরের গুণাগুণ নিয়ে। এই মশলা যেশুধু রান্নায় স্বাদ বাড়ায় তানয়, অনেক অসুখের নিরাময় লুকিয়ে আছে কালোজিরের মধ্যে। উগ্র সুগন্ধযুক্ত কালোজিরে ক্ষিধে বাড়ায়, পেটের বায়ুনাশক ও ফুসফুসের রোগে উপকারী। কেউ কেউ কাশি ও জন্ডিসে কালোজিরে খাওয়ার কথা বলেন।

আমাশা নিরাময় – আমাশার সমস্যায় কালোজিরে মহৌষধ। এ সময় কালোজিরা সামান্য ভেজে গুঁড়ো করে ৫০০ মিলিগ্রাম হারে ৭-৮ চা চামচ দুধে মিশিয়ে ওই মাত্রায় সকালে ও বিকেলে সাত দিন ধরে খেলে উল্লেখযোগ্য ফল পাওয়া যায়।

অনিয়মিত পিরিয়ড – যে সব মহিলা অনিয়মিত পিরিয়ডের সমস্যায় ভোগেন, তাঁদের পিরিয়ড শুরুর পাঁচ-সাত দিন আগে থেকে অল্প গরম জলে ৫০০ মিলিগ্রাম কালোজিরে মিশিয়ে সকালে ও বিকেলে খেতে হবে।

মাথায় যন্ত্রণা – কাঁচা সর্দি থেকে মাথায় যন্ত্রণা হচ্ছে? এ ক্ষেত্রে কালোজিরা কাপড়ে পুঁটলি করে বেঁধে শুকোতে হবে। হাতে রগড়ে নিয়ে সেই গন্ধটা শুকলে উপকার পাওয়া যায়।

শ্লেষ্মা বসে যাওয়া – এ অবস্থায় কালোজিরা বেটে কপালে প্রলেপ দিলে উপকার হয়।

চুলকানি – কালোজিরা ভাজা তেল গায়ে মাখলে চুলকানিতে উপকার হয়। এতে ১০০ গ্রাম সরষের তেলে ২৫-৩০ গ্রাম কালোজিরা ভেজে সে তেল ছেঁকে নিয়ে ব্যবহার করতে হয়।

বিছের হুল – কালোজিরা বেটে কামড়ের জায়গায় লাগিয়ে দিলে অল্প সময় পরই হুলের জ্বালা কমে যায়।

গলা ফোলা – সর্দি-কাসির জন্য গ্লান্ড ফুলেছে, সে ক্ষেত্রে কালোজিরা ও চাল পোড়া সমান পরিমাণে নিয়ে বেটে প্রলেপ দিলে এক দিনের মধ্যে ফোলা ও ব্যাথা উভয়ই উপশম হয়।

দাঁতের ব্যথা – গরম জলে কালোজিরা নিয়ে তা দিয়ে কুলি করলে দাঁতের ব্যথার উপশম হয়।

চুল পড়া – কালোজিরা বেটে নিয়ে মাথায় নিয়মিত মালিশ করলে চুল পড়া কমে ও নতুন চুল গজায়।

ত্বকের শুষ্কতা – ঘিয়ের সঙ্গে কালোজিরে মিশিয়ে খেলে মুখ উজ্জ্বল হয় ও রং ফর্সা হয়।

কৃমি – ভিনেগারে ভিজিয়ে কালোজিরা খেলে কৃমি নষ্ট হয়।

স্মৃতিভ্রংশ – স্মৃতিভ্রংশ ও স্মরণশক্তির দুর্বলতায় কালোজিরা খুব কার্যকর। ৩ গ্রাম কালোজিরা ২০ মিলিলিটার মধুর সঙ্গে মিশিয়ে খেলে এ রোগ সারে।

জন্ডিস, প্লীহাবৃদ্ধি – কালোজিরা বেটে খেলে এ সব রোগ সারে।

প্রস্রাবের বাধকতা – পরিমাণমতো কালোজিরা খেলে প্রস্রাব পরিষ্কার হয়ে যায়।